চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের মহারাজ ঘোড়াস্ট্যান্ডের পেট্রোল পাম্পের পাশে রুহুল ভাইয়ের চায়ের দোকান। রয়েছে তার চায়ের জবর কদর। এলাকাটি কর্মব্যস্ত হওয়ায় তার দোকানে প্রায় প্রতিদিনই থাকে ভিড়। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে তার দোকানে চা পান করতে।
রুহুল ভাইয়ের সংসার চলে তার চায়ের দোকানের উপর। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম রুহুল ভাই ও তার ছেলে সিহাব। একদিন সংসার চালানোর কথা ভেবে চারিদিকে অন্ধকার দেখছিল তার পরিবার। রুহুল ভাই এমন দুশ্চিন্তা দেখে তারা বাপ-ছেলে ঠিক করে সে নিজেই দোকান চালাবে।
এক সময় বাপ ছেলে পাশেই ভাইয়ের দোকানে বেতনে কাজ করতো। তখন থেকেই খুব ইচ্ছে ছিলো একটি দোকান করার। বাবা ছেলের স্বয়ং সম্পন্ন হওয়ার ইচ্ছে ছিলো প্রবল। যেই কথা সেই কাজ, অক্লান্ত পরিশ্রম করে টাকা জমিয়ে হাঁটি হাঁটি পা পা করে গড়ে তুলেছে মহারাজ ঘোড়া স্ট্যান্ডে চায়ের দোকান।
অতঃপর সংসারের কাজ গুছিয়ে প্রতিদিন দোকানে চলে আসে বাপ ছেলে। তারপর ক্রেতাদের আবদার মাফিক সকাল থেকে রাত ব্যাপি চা বানান, সেই সাথে ডাল পুরি। কথাগুলো সহজ শোনালেও রুহুলের ছেলে সিহাবের একা হাতে এতো কাজ সামলানো মোটেও সহজ ছিলো না। বাপ-ছেলে সংসার সামলে সকলের সেবা করে রুজি-রুটির জন্য আবার দোকান সামলান। আল্লাহর দেয়া এক শরীরে যেনো দশ হাত দিয়ে কাজ করে ফিরছেন এই বাপ ছেলে।
চায়ের দোকানে আসা সকলেই এখন রুহুল ভাই বলে ডাকে। দোকান শুরুর প্রথম দিকে কিছুটা দুশ্চিন্তায় থাকলেও, কারো দুয়ারে হাত না পেতে বাপ ছেলে ব্যবসার হাল ধরে। দিন-রাত পরিশ্রম করে যে আয় হয় তা দিয়ে স্বাচ্ছন্দেই আছে পুরো পরিবার।
Comments