Sunday, April 21, 2019

রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ও চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর সরকার



রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস। কিন্তু পবিত্র এ মাস এলেই কিছু অসাধু ও উচ্চ মুনাফাভোগী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি করে এ মাসকে কলুষিত করে। পবিত্র এ মাসে ধর্ম পালনে দেশের মানুষের যাতে কোন বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়েছে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ।
রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ও চাঁদাবাজি বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, কোনো অজুহাতেই রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে দেওয়া হবে না। বাজার মনিটরিং চলছে। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।
রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠে থাকবে সিটি করপোরেশন, ডিএমপি, র‌্যাব ও বিএসটিআইসহ নানা সংস্থা। একই সঙ্গে পুরো রমজানে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করবে এসব সংস্থা। এছাড়া সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত দামের চেয়ে দ্রব্যের দাম বেশি নেয়া হলে বাজার ও সুপার শপগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন ক্রেতারা।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার প্রথম থেকেই ডিসিসিআই ও অন্য ব্যবসায়ী সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে সমন্বিত কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি বাজারে একটি করে বাজার তদারকি কমিটি  গঠন করবে সরকার। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে মূল্য নির্দেশক সাইনবোর্ড রাখার আদেশ জারি এবং উল্লেখিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে বাজার কমিটির আওতায় ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দেয় সরকার।
রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন- ছোলা, চিনি, চাল, দুধ, ভোজ্য তেল, খেজুর, খেসারি প্রভৃতি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে রোজার মাসখানেক আগে এলসি খুলে বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে বিতরণ করবে সরকার। এছাড়া গৃহীত অন্যান্য পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে রয়েছে আমদানি নির্ভর ভোগ্যপণ্য বন্দর থেকে কাস্টম হাউজ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দ্রুত খালাসকরন, ঢাকায় পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান প্রবেশের ক্ষেত্রে সেতু অতিক্রম ও ফেরি পারাপারে টোল প্রদানে বিলম্ব হ্রাস করা, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি ও যানজট নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, পণ্যদ্রব্যের অনিয়ন্ত্রিত মজুদ চিহ্নিত ও বন্ধকরনে বাজার তদারককারী সংস্থাকে সহায়তা প্রদান, দেশের সব বাজারে নিয়মিত মূল্য তালিকা হালনাগাদ করা এবং মূল্য তালিকা কার্যকর করা এবং দক্ষ ও পর্যাপ্ত বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা, বন্দর এলাকা, পাইকারি বাজার ও ব্যাস্ততম পাইকারি বাণিজ্যিক এলাকায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও সান্ধ্যকালীন ব্যাংকিক সেবা প্রদান করা।
রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে ধর্ম কর্ম পালন করতে সাহায্য করবে এমনটাই প্রত্যাশা জনগণের। 

Comments

Popular posts from this blog