রিফাত হত্যায় বরগুনায় ০০৭ বন্ড বাহিনীর মূল পৃষ্টপোষক স্থানীয় আওয়ামী সংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথের ছেলে সুনাম দেবনাথ ।

 
প্রকাশিত : ১৮/০৭/২০১৯, সময় : ০৬:৫০pmq


নয়ন বন্ড কথিত ক্রসফায়ারে নিহত! প্রধান স্বাক্ষী মিন্নি গ্রেপ্তার!
কিন্তুু ০০৭ বন্ড বাহিনীর মূল হোতা স্থানীয় আওয়ামী এমপি পুত্র এ্যাড.সুনাম দেবনাথের কি হলো??

কাদের ভয়ে মিন্নির পক্ষে ছিল না কোনো আইনজীবী?
তাহলে কি প্রধান স্বাক্ষী মিন্নি আটক নাটকের মাধ্যমে ০০৭ বন্ড গ্রুপ ও স্থানীয় এমপি পুত্রকে বাঁচাতে চাইছে প্রশাসন?

অপরাধীরা যেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে না যায়। আমরা চাই ০০৭ বন্ড গ্রুপের মূল হোতা সহ সকল অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়...

তথ্যসুত্রঃ
"বরগুনায় ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা প্রথম আলোকে বলেছেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান তিন আসামির দুজন রিফাত ফরাজী ও তাঁর ভাই রিশান ফরাজী বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের আপন ভায়রার ছেলে। আরেক আসামি সাব্বির জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সুনাম দেবনাথের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত। সুনাম দেবনাথ বরগুনা সদর আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে।"

"রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দুই নেতার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি এখন বরগুনার মানুষের মুখে মুখে। এই দুই নেতার একজন হলেন স্থানীয় সাংসদের ছেলে। আরেকজন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।"


"অভিযোগ ওঠেছে, এই এমপিপুত্রেরই চাপে রিফাতের বাবা  সংবাদ সম্মেলন করে খুনের নেপথ্যে মিন্নির সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি এমপিপুত্র খুনিদের বাঁচাতে মিন্নিকে গ্রেফতারের দাবিতে আজ রবিবার বরগুনা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্দন করেছেন। কর্মসূচীতে রাখা বক্তব্যে এমপিপুত্র মিন্নিকে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান। সুনাম একটিবারও পলাতক আসামীদের গ্রেফতার বা গ্রেফতারকৃতদের শাস্তি নিয়ে কোন বক্তব্য দেননি। দেশ তোলপাড় করা এমন ঘটনায় এমপি পুত্রের এমন অবস্থান ব্যাপক সমলোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি জড়িতদের বাচাতেই মাঠে নেমেছেন এমন মন্তব্য এখন বরগুনাবাসীর মুখে শোনা যাচ্ছে।"


"বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কতিপয় নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়েই ভয়ংকর সন্ত্রাসীতে পরিণত হয়।

তার এভাবে বেড়ে উঠার পেছনে অনুষঙ্গ হিসেবে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছে তা হল মাদক বাণিজ্য। যে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বরগুনা সদর আসনের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর পুত্র জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুনাম দেবনাথের নাম।"
-যুগান্তর, ০২ জুলাই ২০১৯

"বরগুনার মতো একটি ছোট শহরে কেমন করে গড়ে উঠলো এই গ্যাং সংস্কৃতি? কারাই বা তাদের পৃষ্ঠপোষক?

স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি কয়েকজন দলীয় নেতার সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীরের ছেলে জুবায়ের আদনান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় জেলায় ছাত্র রাজনীতিতে শম্ভুর কোনো প্রভাব নেই। বরগুনা ছাত্রলীগের বিপরীতে শম্ভুর ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান-প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সুনাম দেবনাথ কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী মাদক চোরাকারবারীকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতো।

সুনামের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদে নয়ন মাদক চোরাকারবার এবং মোটরসাইকেল চোরাচালানে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলো। অন্যদিকে, জন ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক এবং বাস-ট্রাক ও কার্গো টার্মিনালে চাঁদাবাজী চালাত অবাধে।"
চাঁপাই প্রতিদিন নিউজ, ১৮জুলাই , ২০১৯

Comments

Popular posts from this blog