বিকাশ থেকে নাহিদ বলছি’ চক্রের পাঁচজন আটক

ফরিদপুর প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০১৯  
   
ছবি: চাঁপাই প্রতিদিন

‘বিকাশ থেকে আমি নাহিদ বলছি, আপনার মোবাইলের পিন নাম্বারটি বলুন’ এমন কথা দিয়ে সাজানো বিকাশের একটি সতাকর্তামূলক প্রতীকী বিজ্ঞাপন টিভিতে নিয়মিতই চলছে। মোবাইলে টাকা লেনদেনের সহজ মাধ্যম বিকাশে গ্রাহক প্রতারণা থেকে বাঁচতে সতাকর্তাস্বরূপ টিভি বিজ্ঞাপন, পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালালেও প্রতারক চক্র থেকে গ্রাহকদের মুক্তি নেই।

এরইমধ্যে প্রতারণার মাধ্যমে উপরোক্ত উপায়ে গ্রাহকদের থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে রোববার ভোরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মিয়াপাড়া এলাকা থেকে আটক করেছে র‌্যাব। এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪৬টি মোবাইল, বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ৫৭৮টি সিমকার্ড, দুটি রাউটার, ১৬৪ ইয়াবা, দুই বোতল ফেনসিডিল, ১৭৫ গ্রাম গাঁজা ও নগদ ৯শ’ টাকা আটক করা হয়।   
আটকরা হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার মিয়া পাড়ার আলী ফরাজীর ছেলে রুবেল ফরাজী,  কালা মিয়া ফরাজীর ছেলে উজ্জল ফরাজী, সলফু শিকদারের ছেলে ও বাইদুল শিকদার, আতা হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার ও রায়নগর গ্রামের বাবু মাতুব্বর।
র‌্যাব-৮, সিপিসি-২ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন পরাগ বলেন, মিয়া পাড়ার এ বিকাশ প্রতারকদের তথ্য জেনে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 
তিনি জানান, আটকরা মোবাইল সিম বিক্রেতার সঙ্গে পরস্পর যোগসাজসে ভুয়া নামে সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশনের পর বিকাশ এজেন্টদের থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট চালু করে। তারা টাকার বিনিময়ে বিকাশ এজেন্টদের থেকে গ্রাহকের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করতো। তারপর নিজেদেরকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে গ্রাহকদের বিকাশ পিন কোড জেনে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি মাদক দ্রব্য ক্রয়বিক্রয়ের কথা স্বীকার করেছে। এর আগেও বিকাশ প্রতারণার অপরাধে জড়িত থাকার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog