চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘ফনি’র প্রভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি
শহর প্রতিবেদকঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা ঝড়ো হাওয়া বয়ে চলেছে। অবিরাম বৃষ্টির কারনে পৌর এলাকসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি জমে গেছে। চরম ভোগান্তীতে পড়েছেন মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের নিমতলা থেকে ম্যাথরপাড়া মোড়, ইসলামপুর থেকে ভেলুর মোড়, স্কুল-কলেজ রোড, ক্লাব সুপার মার্কেটের সামনে, নিউমার্কেট, বটতলা হাট, ধাপাপাড়া-চৌমহুনী, বিভিন্ন স্কুলের মাঠে হাটু পানি জমে গেছে। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই শহরের প্রায় দোকান বন্ধ ছিল। ফণীর কারনে কাজ ছাড়া তেমন মানুষ ঘরের বাইরে বের হয় নি। শহরের প্রত্যেক মহাসড়ক, পাড়া, মহল্লায় মানুষের চলাচলও একদম ছিল না। যানবাহনও খুব একটা চোখে পড়েনি।
এদিকে গোমস্তাপুর, ভোলাহাট, নাচোল ও রহনপুরেও একই অবস্থা ছিল বলে জানা গেছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারনে সর্বত্র ছিল মানুষের চোখ গণমাধ্যমগুলোতে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ফণীর খবরাখবর নিতে দেখা গেছে অনেককেই। সবার মুখেই একটা কথা কি হতে চলেছে এ ঘূর্ণিঝড়ের কারনে। রবিবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে জানা গেছে আবহাওয়া সূত্রে। ফণী অতি প্রবল থেকে শক্তি হারাতে হারাতে উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানে। তবে ছোবল মারতে পারেনি। এটি আরও শক্তিক্ষয় করে সন্ধ্যায় ভারতের আসামে গিয়ে ঠেকবে। সন্ধ্যা নাগাদ এটি স্বাভাবিকের দিকে যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফণীর আঘাতে তেমন কোন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুলল হক জানান, চরবিস্তৃত এলাকা নারায়নপুর ও পাঁকায় দু’শতাধিক পরিবারকে নিকটবর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে কন্ট্রোল রুম ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের কোথাও কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। প্রশাসন সবসময় এ বিষয়ে মনিটরিং করে যাচ্ছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক।
অতিপ্রবল থেকে দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় আকারে শনিবার সকাল ৬টা থেকে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চলে আছড়ে পড়ে ‘ফণী’। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বর্তমানে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা, ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। যা দু একদিন চলতে পারে।
Comments