চাঁপাইনবাবগঞ্জের বারোঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের এর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ।


29 April 2020



বিশেষ প্রতিনিধিঃচাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে ত্রাণের চালসহ ভিজিডির কার্ড নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, বারঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নিজের ছেলে আসিফ, হারেজ মেম্বার, হারেজ মেম্বারের ২য় স্ত্রী বিজলি বেগম, বাক্কার চৌকিদার ও মামুন সহ কয়েক জনের সহযোগিতায় ভিজিডির ১৩০টি কার্ড এবং ১০ টাকা কেজি দরে চালের ১৩৫০টি কার্ড অর্থের বিনিময়ে প্রদান করায় প্রকৃত সুবিধাভোগিরা সেটা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ১০ টাকা কেজি চাল ও ভিজিডি একই পরিবারে ৪ টি কার্ড দেয়ার নজির সৃষ্টিও করেছেন চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।
এছাড়াও তিনি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মাতৃত্বকালীন ভাতা, চল্লিশ দিনের কর্মসূচি, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডে অর্থ আদায় করেছেন এবং টাকার কথা প্রকাশ পেলে কার্ডগুলো বাতিল করা হবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন।
অন্যদিকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ত্রাণের চাল নিয়েও অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। এলাকায় স্বচ্ছল ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিতসহ একই পরিবারের ১১ জনকে করোনা মোকাবেলায় ত্রাণের চাল ও ভিজিডি কার্ড দিয়েছেন মর্মেও অভিযোগ রয়েছে। এদের মধ্যে একজন সরকারি কর্মকর্তাও (তহসিলদার সাদেক আলি) রয়েছেন। এসব বিষয় উল্লেখ করে তদন্ত দাবি করে সুষ্ঠু সমাধান চেয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন বারঘরিয়ার জনৈক আব্দুস সামাদ।
এ ব্যাপারে বারঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়েরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওয়ার্ড মেম্বারদের সাথে কথা বলে তালিকা করা হয়েছে। এতে তার অজান্তে কিছু অনিয়ম হয়ে থাকতে পারে। তবে পরবর্তীতে তিনি আরও সতর্ক হবেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে বারোঘরিয়া ইউপি মহিলা সদস্য সুফিয়া বেগম, মুসলেমা বেগম ও সদস্য সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ত্রাণ গ্রহণ ও বিতরণের বিষয়ে আমাদের সকল সদস্য নিয়ে মিটিং কিংবা সমন্ময় করেন না। বরং নিজের মনোনিত চেয়ারম্যানের ছেলে আসিফ ও মদদপুষ্ট মামুনকে দিয়ে ইচ্ছে মত ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, এ অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত খুব শীঘ্রই তদন্ত শুরু হবে এবং প্রমান হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা বলেও জানান তিনি।
এদিকে সরকারি সহায়তা নিয়ে কাউকে কোন ধরণের ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক।

Comments

Popular posts from this blog